যারা টেকনলজি দুনিয়ার খবর রাখেন, তারা অবশ্যই জানেন যে বর্তমানে গ্লোবালি একটা চিপ শর্টেজ চলছে যার কারনে বিভিন্ন কম্পিউটার কম্পনেন্ট এর দাম বেড়ে যাচ্ছে আর কোথাও গ্রাফিকস কার্ড পাওয়া যাচ্ছেনা। বাংলাদেশ এ মার্কেট সাইজ অনেক ছোট হউয়ায় এর প্রভাব তেমন মারাত্মক ভাবে এখনও লক্ষ করা না গেলেও অনুমান করা যায় অন্য দেশ এ সাপ্লাই বাড়াতে বাংলাদেশ এ যদি রপ্তানি কমিয়ে দেয়া হয়, তাহলে বাংলাদেশেও বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই, আসুন জেনে নেয়া যাক, কবে নাগাদ এই চিপ শর্টেজ থাকবে।
চিপ শর্টেজ শুরু হল কিভাবে?
টেক ইউটিউবার Linus Tech Tips এই ভিডিওতে বেশ কিছু কারন তুলে ধরেছে। সেই কারন গুলই বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হল।
প্রথমত করোনা ভাইরাস প্যান্ডেমিক এর জন্যে উৎপাদন বেশ কিছুটা কমে গেছে, আর অন্যদিকে পড়াশুনা, কাজ, মিটিং সব অনলাইনে হউয়ায় কম্পিউটার আর স্মার্টফোনের চাহিদা বহুগুনে বেড়ে গেছে। একই কারনে যে সার্ভিসগুলো ব্যাবহার করে আমরা অনলাইনে এ কার্যক্রম চালাচ্ছি, তাদেরও সারভার আপডেট করতে হয়েছে। হটাত করে বেড়ে যাওয়া এই ডিমান্ড মিট করতে পারছেনা করোনায় কাজ করা কারখানা গুলো। যারা ইকোনমিকস পরেছে, তারা এই ডিমান্ড আর সাপ্লাই এর বিষয়টা পরিষ্কার ভাবে বুঝতে পারবে।
তবে এটাতো বড় বড় কম্পানিদেরও বোঝার কথা। হ্যা, এটা কম্পানি গুলোও আন্দাজ করেছিল আর সেই অনুযায়ী উৎপাদন ও বাড়িয়েছিল তাদের প্রোডাক্ট এর। তাহলে কেন এই চিপ শর্টেজ? চলুন, দেখে নেয়া যাক।
প্যানিক বাইং- (Panic Buying) যখন বিভিন্ন কম্পানি ঘোষণা করল যে ২০২০ সালের শেষের দিকে সিলিকন শর্টেজ দেখা দিতে পারে, তখন অনেকেই এই কম্পোনেন্ট গুলো কিনে রাখা শুরু করলো। এই প্যানিক বাইং এর জন্যেই একটা কৃত্তিম ঘাটতি দেখা দিল যার ফলে আরও বেশি মানুষ প্যানিক বায়িং শুরু করে। এই কৃত্তিম ঘাটতির জন্যেই অনেক আংশে কম্পনেন্ট শর্টেজ শুরু হয়।
কবে শেষ হবে?
এই প্রশ্নের উত্তর এখনই সঠিক ভাবে দেয়া যাবেনা তবে গ্রাফিক্স কার্ড নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া বলেছে, তাদের শর্টেজ ২০২২ এর শেষ অথবা ২০২৩ এর শুরুতেই স্বাভাবিকে ফিরবে। এক্সপার্টরাও একই কথা বলছেন। বাংলাদেশ এ এটি আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।