র্যাম ও রম এর মধ্যে পার্থক্য জানতে হলে আগে জানতে হবে র্যাম ও রম কি। ইংরেজিতে RAM এর পূর্ণরূপ হল Random Access Memory আর ROM এর পূর্ণরূপ হল Read-Only Memory. এবার চলুন র্যাম ও রম এর পার্থক্য বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক-
র্যাম এর কাজ কী?
আমরা লেখার শুরুতেই জেনেছি, র্যাম হল র্যানডম অ্যাক্সেস মেমোরি। র্যাম এ সংরক্ষিত তথ্য সিপিইউ সহজেই পরতে পারে। একে Volatile বা পরিবর্তনশীল মেমোরি ও বলা হয়। এখানে সঞ্চিত ডেটা পাওয়ারের উপর নির্ভর করে এবং কম্পিউটার/ডিভাইস বন্ধ বা পুনরায় চালু করা হলে র্যামে সংরক্ষিত ডেটাও মুছে যায়। কম্পিউটার দ্রুত চালানোর জন্যে র্যাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ল্যাপটপ কেনার সময় বা পিসি তৈরি করার সময় র্যাম বিবেচনা করে কেনা বা বানানো উচিত।
র্যাম সাধারণত ইউনিট প্রতি 64MB থেকে 4GB পর্যন্ত হতে পারে। তবে, আজকাল উন্নত মানের 8-32GB র্যামস্টিক পাওয়া যায় যা গ্যামিং বা গ্রাফিক্স এর কাজের জন্য অপরিহার্য। সার্ভার গ্রেড র্যাম আরও বেশি মেমোরির হতে পারে।
বাজারে দুই ধরনের র্যাম পাওয়া যায়। এগুলি হল –
১। স্ট্যাটিক র্যাম – সবসময় পাওয়ার প্রয়োজন হয়, দ্রুত, বেশি দামী
২। ডায়নামিক র্যাম – বারবার রিফ্রেশ হয়, স্ট্যাটিক র্যামের তুলনায় ধীর এবং সস্তা
রমের কাজ কী?
মূলত রম শুধুমাত্র পঠনযোগ্য মেমোরি। এরমানে সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট রমে সঞ্চিত ডেটা শুধু পড়তে পারে। এটির রমে সঞ্চিত ডেটা পরিবর্তন করার অনুমতি নেই। সিপিইউ সরাসরি রম অ্যাক্সেস করতে পারে না। প্রথমে ডেটা র্যামে স্থানান্তরিত হয় তারপরে সিপিইউ র্যাম থেকে ডেটা পড়ে। র্যামের বিপরীতে, রম একটি non-Volatile মেমোরি। সুতরাং, রমে থাকা ডেটা স্থায়ী এবং কম্পিউটার বন্ধ হয়ে গেলে মুছে যায় না।
কম্পিউটার বুট করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ডেটা রম সংরক্ষণ করে। র্যামের তুলনায় রমের মেমরির ক্ষমতা কম থাকে। এগুলি ধীর এবং সস্তা। রমের মূল ব্যবহার বুট সম্পর্কিত তথ্য সংরক্ষণ করা। কয়েক ধরণের রম আছে, যেমন-
- PROM – প্রোগ্রামেবল রম, ব্যবহারকারী রমের ডেটা কেবল একবার সংশোধন/পরিবর্তন করতে পারবেন।
- EPROM – ইরেজেবল এবং প্রোগ্রামেবল রম, ব্যবহারকারী রমের সকল ডেটা মুছতে এবং এই রমটিকে পুনরায় প্রোগ্রাম করতে পারবেন।
- EEPROM – ইলেক্ট্রিক্যালী ইরেজেবল এবং প্রোগ্রামেবল রম, ব্যবহারকারী এই রমটি দশ হাজার বার মুছতে এবং পুনরায় প্রোগ্রাম করতে পারবেন।
নীচের টেবিলএ র্যাম ও রমের মধ্যে প্রধান কিছু পার্থক্য দেখুন-
র্যাম | রম |
---|---|
র্যানডম অ্যাক্সেস মেমোরি | রিড অনলি মেমোরি |
অস্থায়ী ডেটা সংরক্ষণ | স্থায়ী ডেটা সংরক্ষণ |
সিপিইউ সহজেই পরতে পারে, | সিপিইউ সরাসরি পরতে পারেনা |
পিসিকে দ্রুত বানায় | বুট এর ডেটা সংরক্ষন করে |
দাম ও মেমোরি ক্ষমতা বেশি | দাম ও মেমোরি ক্ষমতা কম |
তাহলে এগুলই ছিল র্যাম ও রমের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য। আশা করি তথ্যগুলো আপনার কাজে লাগবে। আমাদের সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ।