মাইক্রোসফট এর প্রথম জিইউআই অপারেটিং সিস্টেমের আইকনিক ইন্ট্রডাকশন এরপর উইন্ডোজ 11 ই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লঞ্চ। সেই উইন্ডজ 95 এরপর টেক দুনিয়ায় অনেক পরিবর্তন এসেছে সাথে পরিবর্তন এসেছে মাইক্রসফট এও। মাইক্রোসফট এর নতুন সিইও সত্য নাদেলার মেয়াদে এটিই প্রথম পূর্ণাঙ্গ অপারেটিং সিস্টেম লঞ্চ হবে। Windows 11 এ এর আগে রিলিজ হউয়া ভার্শন থেকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ করা যায় বিশেষ করে আগের রিলিজ এর ফোকাসের সাথে windows 11 এর মুল ফোকাসে। তাই প্রায় নিশ্চিত ভাবে বলা যায়, windows vista আর windows 8 এর মত ব্যর্থতার দিকে যাচ্ছে না windows 11, অন্তত সিইও নাদেলার আমলে নয়। বর্তমান অবস্থা থেকে আরও ধারনা করা যায়, Windows 12 আরও যুগান্তকারী হবে।
কেন উইন্ডোজ 11 সফল হবে
এই শতকের শুরুর দিকে আমরা অনেক গুলো Windows ভার্সন পেয়েছি। Windows 2000 থেকে শুরু, এরপর ব্যর্থ Windows Millennium, এরপর আসলো Windows XP, যার পরেই আসে আরেকটি চরম ব্যর্থ Windows Vista, তারপরে এলো Windows 7 যা এখনও আমাদের দেশে অনেক জনপ্রিয়। Windows 7 এর বেশ কয়েক বছর পর আশে Windows 8 যা ব্যবহারকারীদের মাঝে উল্লেখযোগ্য সারা ফেলতে ব্যর্থ হয়। ২০১৫ সালে বর্তমান সিইও সত্য নাদেলা আসার পরে রিলিজ হয় Windows 10 যা ব্যবহারকারীদের কাছে সমাদৃত হয়েছে।
এখন Windows ভার্শন গুলো রিলিজের মধ্যে একটা ধারা লক্ষ করা যায়- প্রতি সফল ভার্শন এর পরে একটা করে ব্যর্থ ভার্শন রিলিজ হয়েছে। তাহলে কি নাদেলার মেয়াদে প্রথম পূর্ণাঙ্গ অপারেটিং সিস্টেম, Windows 11 ও ফ্লপ করতে চলেছে? আমাদের মনে হয়না। চলুন একটু বিশ্লেষণ করা যাক। উইন্ডোজ এর ফ্লপ ভার্শন গুলোর প্রত্যেকটাই মাইক্রোসফট এর অদ্ভুত কিছু অভ্যন্তরীন আদর্শ ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে, এরপর যখন তা ফ্লপ হয়েছে, পরবর্তী ভার্শন এ তা ঠিক করার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। এরফলে গ্রাহকেরা এমন একটি অপারেটিং সিস্টেম পেয়েছে যা তাদের মন মত কাজ করে।
তাহলে কি Windows 11-ও কি এই প্যাটার্নে যাচ্ছে? না, কারন নতুন সিইও সত্য নাদেলা দায়িত্ব নেয়ার পর Microsoft এর ফোকাস কাস্টোমারদের প্রয়োজন এবং অভিজ্ঞতার দিকে নিয়ে এসেছেন। তাই এবার দেখা যাচ্ছে, Windows 11 কাস্টোমারদের প্রয়োজন মাথায় রেখেই ডিজাইন করা হয়েছে যা অপারেটিং সিস্টেমটিকে সফল করতে ভুমিকা রাখবে। উইন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ সেভেন আর উইন্ডোজ টেন এর মত Windows 11 বানানোর সময় ও আগের ভার্শনের যে দিক গুলো নিয়ে ব্যবহারকারিরা অসন্তুষ্ট ছিল, সেই গুলো ঠিক করার ওপর ফোকাস করা হয়েছে। উইন্ডোজ এলেভেন এর ক্ষেত্রে এগুলো হল সিকিউরিটি আর User Interface or UI.
Best Budget Phones of 2022 in BD – বাংলায়
Windows 11 আপনার সাথে মানিয়ে নেবে।
যদি আপনার ডিভাইসে সাপোর্ট করে, তাহলে আপনি জেনুইন উইন্ডোজ টেন থেকে ফ্রিতেই Windows 11 এ আপগ্রেড করতে পারবেন। আপনার ডিভাইসে TPM 2.0 in the Hardware এবং সিকিউর বুট চালু থাকলেই আপনি উইন্ডোজ এলেভেন ইন্সটল করতে পারবেন। যাতে কোন ম্যালওয়্যার পুরো সিস্টেমে আক্রমন করতে না পারে, সে জন্যেই এ সাবধানতা। এথেকে বোঝা যায়, Windows 11 এ সিকিউরিটিকে কতটা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। গত দশকে বিভিন্ন ধরনের সাইবার অ্যাটাক বিশেষ করে র্যান্সমওয়্যর আক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত হতে পারে। ২০২৫ সাল পর্যন্ত মাইক্রোসফট উইন্ডোজ টেন এর সাপোর্ট চালিয়ে যাবে। এই সময়ের মধ্যে বর্তমানে ব্যবহৃত বেশিরভাগ হার্ডওয়্যার বন্ধ হয়ে যাবে বা কাজ করা বন্ধ করে দেবে।
প্রডাক্টিভিটি বাড়াতে সাহায্য করার মত করে উইন্ডোজ এলেভেন ডিজাইন করা হয়েছে। উইন্ডোজ ১১ হল উইন্ডোজ সিরিজের প্রথম ভার্শন যা আপনি কীভাবে কাজ করেন তার সাথে খাপ খাইয়ে নেবে। পুরোপুরি না পারলেও অন্তত আংশিক ভাবে এটি আপনার সাথে খাপ খাইয়ে নেবে। তাই নতুন OS এর সাথে আপনার কাজ করার ধরনে কোন পরিবর্তন আনতে হবেনা বরং Windows 11 ই আপনার মত করে মানিয়ে নেবে।
আরও কি কি চমক নিয়ে আসছে এই নতুন অপারেটিং সিস্টেম তা দেখার জন্যে আমাদের সাথে থাকুন।